গলায় কাটা নামানোর দোয়া  ও কার্যকরী পরামর্শ

গলায় কাটা বা খাদ্য আটকে গেলে অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়। এমন পরিস্থিতিতে ইসলামিক দোয়া পাঠ করা হলো একটি উত্তম পন্থা। কিন্তু এমন অনেকেই রয়েছেন যারা কিনা জানেন না– গলায় কাটা নামানোর দোয়া সম্পর্কে। তাই গলায় কাটা নামানোর দোয়া নিয়ে আমাদের আজকের এই নিবন্ধন।

গলায় কাটা নামানোর দোয়া

আরও পড়ুনঃ শরীর শুকিয়ে যাওয়ার কারণ

আজ আমরা বাচ্চাদের গলায় কাঁটা নামানোর দোয়া, বড়দের গলায় কাঁটা বিধলে করণীয়, গলায় কাটা নামানোর মন্ত্র, মাছের কাঁটা বের করার উপায় বা ঘরোয়া টেকনিক সম্পর্কে আলোচনা করব বিস্তারিত। তাই দেরি না করে আসুন জেনে নেই– মাছের কাঁটা গলায় আটকে গেলে বের করার সহজ আমল আমার আপনার জন্য কি হতে পারে! 

গলায় কাটা নামানোর দোয়া 

পবিত্র কোরআনের আয়াতের আমল ও ফজিলতের মাধ্যমে খুব সহজেই গলায় আটকে থাকা কাটা নামিয়ে ফেলা সম্ভব হয়। মহান আল্লাহতালা আমাদের জন্য কুরআনে সকল সমস্যার সমাধান দিয়ে রেখেছেন। আপনি যদি কখনো এই অস্বস্তিকর সমস্যায় পড়েন তাহলে গুরুত্বপূর্ণ একটি দোয়া পড়ে ঢোক গিললে এবং গলাতে হাতের আঙ্গুল দিয়ে আলতো করে মালিশ করলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ইনশাআল্লাহ কাটা নেমে যাবে। হয়তো ইতিমধ্যে অনেকেই এই উপায়ে গলার কাটা নামিয়েছেন বহুবার। কিন্তু যারা জানেন না ঠিক কোন দোয়া পাঠ করতে হয় তারা সঠিকভাবে উচ্চারণ জেনে নিন এবং এর অর্থ সম্পর্কে অবগত হতে নিচের অংশটুকু পড়ুন। 

মুহূর্তেই গলার কাঁটা দূর করার দোয়া 

فَلَوْلَآ إِذَا بَلَغَتِ ٱلْحُلْقُومَ

উচ্চারণ: ‘ফালাওলা ইযা-বালাগাতিল হুলকুম।’

অর্থ: অতঃপর যখন কারো প্রাণ কন্ঠাগত হয়।

(সূরা: আল-ওয়াকিয়াহ (الواقعة), আয়াত: ৮৩)

গলায় কাটা নামানোর মন্ত্র | দোয়া পড়ে গলায় আটকে থাকা কাটা নামানোর নিয়ম 

ইতোমধ্যে আমরা গলায় কাটা নামানোর দোয়াটি আরবিতে এবং বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ সহ উল্লেখ করেছি। আপনি যদি এই দোয়া পাঠ করে কাউকে গলার আটকে থাকা কাটা নামাতে সাহায্য করেন তাহলে আল্লাহর রহমতে খুব দ্রুত এর কার্যকারিতা জানতে পারবেন। 

তবে হ্যাঁ অবশ্যই আপনাকে দোয়াটি আমল করার নিয়ম জানতে হবে। যেহেতু পবিত্র আল কুরআনের একটি সূরার অংশ হচ্ছে এই দোয়া তাই সর্বপ্রথম আপনি ওযু করে পাকপবিত্র হয়ে নিন। অতঃপর মুখে সুন্দর ভাবে বলুন আউযুবিল্লাহির মিনার শাইতনির রাজিম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,“ফালাওলা ইযা – বালাগাতিল হুলকুম।” 

এই দোয়াটি পাঠ করার পর গলার যে পাশে মাছের কাঁটা আটকে রয়েছে সে পাশে একবার পড়ে ফু দিয়ে শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা আলতো করে উপর থেকে নিচের দিকে মালিশ করুন। অতঃপর যার গলাতে আপনি এই দোয়া পাঠ করে ফু দিচ্ছেন তাকে ঢোক গেলার জন্য পরামর্শ দিন। 

এই একই নিয়মে একইভাবে পরপর সাতবার দোয়া পড়ে ফু দিলে এবং মালিশ করলে খুব সহজেই গলায় আটকে থাকা কাটা নেমে যাবে। 

আর হ্যাঁ, অনেকেই আবার গলায় কাটা নামানোর মন্ত্র হিসেবে পাঠ করে থাকেন- “সমুদ্রের মধ্যে অরমু সমুদ্রেরগাঙ্গ। সেই মাছ কুইরা ধইরা যে খায়, খাইয়া কুইরা উইরা সে যায়, নাম …. গলার কাটা মাগে দিয়া চলে যায়।”

তবে এর কার্যকারিতা সম্পর্কে আমি অবগত নই। তবে যারা মন্ত্রটি পড়ে কাটা নামানোর চেষ্টা করেন তাদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে– এই মন্ত্র শনিবার অথবা মঙ্গলবারে ভালোভাবে মুখস্ত করে নিতে হবে। অতঃপর যদি গলায় কাঁটা আটকে যায় তখনই এই মন্ত্র তিনবার পড়ে সাদা ভাতে ফু দিয়ে খেলে খুব দ্রুত মাছের কাঁটা গলা থেকে নেমে যায়। 

তবে আমরা পরামর্শ দেব এতশত মন্ত্র তন্ত্র না পড়ে দোয়া পাঠ করে গলায় ফু দেওয়ার জন্য। কেননা ইতোমধ্যে অনেকের ই গলায় কাটা নামানোর দোয়া পাঠ করে এই অস্বস্তিকর সমস্যার সমাধান মিলেছে। আর এছাড়াও গলায় মাছের কাটা বা মাংসের হাড় বেঁধে গেলে আরও কিছু করণীয় কাজ করতে হতে পারে। তাই এ সম্পর্কে জেনে রাখলে আপনার ভবিষ্যতে কাজে লাগবে বলে আশা করছি। তাই নিচের অংশটুকু আরো জানার জন্য পড়ে ফেলতে পারেন। 

গলায় কাটা বিঁধলে করণীয়

গলায় কাটা নামানোর দোয়া

আরও পড়ুনঃ বাচ্চা বুকের দুধ খেতে চায় না কেন

গলায় কাটা বিঁধলে করণীয় কাজ হিসেবে আপনি যা যা অবশ্যই করবেন সেগুলো হলো—

  • জোরে জোরে কাশি দেওয়া – কেননা বেশিরভাগ সময় গলায় কাঁটা আটকে যাবার কারণে অনেক ব্যথা সৃষ্টি হয়। তো আপনি যদি জোরে জোরে কাশি দেন তাহলে একটি ঢাকার সৃষ্টি হবে ফলে গলায় আটকে থাকা কাঁটা ভেতরে থেকে বের হয়ে আসার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই কাজটা করে দেখতে পারেন যে সমস্যার সমাধান মিলে কিনা। 
  • সাদা ভাত ললা বানিয়ে খাওয়া– সাধারণত মা চাচীরা গলায় মাছের কাঁটা আটকে গেলে এই করনীয় কাজটি সবার আগে করে থাকেন। তারা বলেন সাদা ভাতের দলা না চিবিয়ে গিলে ফেলতে। যাতে করে আটকে থাকা কাটা খুব সহজে ভেতরে চলে যায়। আমরাও এই কাজটা করার পরামর্শ দেব। কেননা এটি খুবই প্রচলিত একটি পদ্ধতি, আর অনেক সময় এই পদ্ধতির কারণে খুব সহজেই গলার কাঁটা নেমে যায়। 
  • অলিভ অয়েল অথবা ভিনেগার গিলে খাওয়া– হয়তো অবাক হবেন কিন্তু এটাই সত্যি ভিনেগার গলায় ফুটে থাকা কাটা নামাতে অনেক বেশি কার্যকরী। কেননা ভিনেগার এক ধরনের এসিড। যে কারণে গলার কাঁটা নরম করে ফেলতে পারে। তাই আপনি যদি ভিনেগার গিলে খান সেক্ষেত্রে গলায় আটকে থাকা কাটা হালকা নরম হয়ে সেটা ভেতরে প্রবেশ করবে মানে আপনার গলাতে আটকে থেকে যে কাটা অস্বস্তি অনুভব করাচ্ছে তা সহজেই স্বস্তি দেবে। এমনকি গলার কাঁটা নেমে যাওয়ার ক্ষেত্রে তেল বেশ উপকারী। যদি সেটা অলিভ অয়েল হয় তাহলে তো আরো ভালো। তাই এই দুটি জিনিস খেয়েও আপনি গলার কাঁটা নামাতে পারেন। 
  • পানি পান করা– গলায় কাটা আটকে গেলে দ্রুত যতটা সম্ভব পানি পান করুন। সাদা ভাতের ললা খাওয়ার পরেও যদি কাটা না যায় তাহলে বেশি বেশি পানি পান করার মাধ্যমেও এই কাঁটা গলা থেকে সরিয়ে ফেলা যায়। 
  • লবণ এবং লেবুর মিশ্রণ গ্রহণ করুন– সাধারণত এক টুকরো লেবুতে হালকা লবণ মিশিয়ে ওই লেবু যদি চুষে খাওয়া হয় তাহলেও কখনো কখনো মাছের কাঁটা গলা থেকে সরে যায়। তাই গলায় আটকে থাকা কাটা নামানোর জন্য এই করণীয় কাজ করতে পারেন। 
  • কোমল পানীয় খান– অনেক সময় কোমল পানির সঙ্গে লেবু মিশিয়ে অল্প অল্প করে চুমুক দিয়ে খেলে সোডা আর লেবুর অমৃত একসঙ্গে মিশে মাছের কাটাকে গলিয়ে দিতে পারে। আর তাই আপনি চাইলে গলায় আটকে থাকা কাটে নামানোর জন্য এই আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। আশা করি কাজে দেবে। 

আর হ্যাঁ, অবশ্যই গলায় কাটা আটকে গেলে নিজেকে স্থির রাখার চেষ্টা করবেন। অস্থির হবার কোনই কারণ নেই। কেননা কাটা আটকে গেলে আপনার অস্বস্তি অনুভব হবে এটা স্বাভাবিক, কিন্তু আপনি যদি অতিরিক্ত অস্থির হয়ে পড়েন বারবার কোন কিছু দিয়ে খোঁচাতে থাকেন, কিংবা গলার মধ্যে হাত ঢুকিয়ে দেন সে ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে। তাই প্রথমত ঘরোয়া এই উপায়গুলো অবলম্বন করুন।

আর তাছাড়া যেহেতু গলায় কাটা নামানোর দোয়া পাঠ করলে কাটা দ্রুত সরে যায় তাই এই উপায়ে স্বস্তির ব্যবস্থা করুন। আশা করি আপনার সমস্যার সমাধান দ্রুত মিলবে। আর যদি এত কিছু করার পরেও গলার কাঁটা না নামে, সে ক্ষেত্রে আপনাকে গলার কাটা নামানোর ঔষধ খেতে হবে। কোন কোন ওষুধ খেতে পারবেন, গলায় কাটানো নামানোর জন্য হোমিও ঔষধ কার্যকরী নাকি এলোপ্যাথিক, জানতে হলে নিচের অংশটুকু পড়ুন। কেননা এখানে আমরা এমন কিছু কার্যকরী ঔষধ সাজেস্ট করছি আপনাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে। 

গলায় কাটা নামানোর ঔষধ | গলায় আটকে থাকা কাটা নামানোর হোমিও ঔষধ

মাছের কাঁটা গলায় আটকে গেলে কোন উপায়ে যদি সেটা না নামে তাহলে ঔষধ খাওয়া জরুরী। এক্ষেত্রে সাধারণত চিকিৎসকরা সিলিসিয়া Silicea 200mg খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়াও আরো দুটি কার্যকরী হোমিওপ্যাথি ওষুধ রয়েছে। সেগুলো হলো–

  • Anagallis A 
  • Arnica Mont

অতএব যদি কখনো আপনার গলায় কাটা বা মাংসের হাড় বেঁধে যায় তাহলে এই সমস্যার সমাধানের জন্য দ্রুত ফার্মেসি থেকে এই তিনটি ওষুধের মধ্যে যেকোনো একটি সেবন করবেন। আশা করছি এক থেকে দুইটি ট্যাবলেট খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার গলায় আটকে থাকা কাটা নেমে যাবে। তবে হ্যাঁ সাধারণত এই ওষুধগুলো তিন থেকে সাত দিন খেতে হয়।। এজন্য ওষুধের ডোজ বা খাওয়ার নিয়মাবলী প্যাকেটের গায়ে থেকে ভালোভাবে পড়ুন অতঃপর নিয়ম মেনে ঔষধ খান। চাইলে নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই হোমিও ঔষধ খেতে পারেন। 

আরও পড়ুনঃ রক্ত দিলে কি কি ক্ষতি হয়

বাচ্চাদের গলায় কাটা নামানোর দোয়া 

সাধারণত ছোট বড় সবার জন্যেই একই দোয়া পাঠ করতে হয়। দোয়া হচ্ছে কোরানে উল্লেখিত পবিত্র কিছু কথা, যেকোন মহান আল্লাহ তায়ালা মানব কল্যাণের জন্য বলেছেন। আর তাই বাচ্চাদের গলায় কাটা আটকে গেলে উপরে উল্লেখিত ঐ একই দোয়া পাঠ করে আপনি একই নিয়মে ঝারা ফু দিয়ে কাটা নামিয়ে ফেলতে পারবেন।

আর হ্যাঁ, যদি কোন শিশুর গলায় মাছের কাঁটা বা অন্য কিছু আটকে যায় তবে চিন্তিত না হয়ে প্রথমে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবেন। সেই সাথে আরও যে সূরা পাঠ করতে পারেন সেটা হচ্ছে-

بِسْمِ اللهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ العَلِيمُ

উচ্চারণ:“বিসমিল্লাহিল্লাযি লা ইয়াদুররু মা’আসমিহি শাই’উন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামা’ই ওয়াহুয়াস সামিয়ুল আলিম।”

অর্থ:”আল্লাহর নামে (শুরু করছি), যার নামে কোনো ক্ষতি হয় না, আসমান ও জমিনে। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী।”

আর তাছাড়াও, বড়দের তুলনায় যেহেতু ছোটরা অনেক বেশি ভয় পাবে এমন পরিস্থিতিতে পড়লে, তাই আমরা পরামর্শ দিব গলায় কাঁটা বা কিছু আটকে গেলে প্রথমেই শিশুকে শান্ত রাখার চেষ্টা করার। অতঃপর পানির সাথে ছোট ছোট টুকরো খাবার যেমন ভাত খাওয়ানো যেতে পারে। আর যদি অবস্থা গুরুতর হয় তবে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী। মনে রাখবেন, এই দোয়াগুলো আল্লাহর সাহায্য চেয়ে পাঠ করা হয়, তাই চিকিৎসার পাশাপাশি এই ধরনের সমস্যায় স্বাস্থ্যগত পরামর্শ গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

গলায় কাটা নামানোর বিষয় সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর 

১. গলায় কাঁটা কতদিন থাকে? 

✓ গলায় কাঁটা আটকে গেলে সেটা সঙ্গে সঙ্গে ছেড়ে যেতে পারে আবার অনেকদিন পর্যন্ত স্থায়ীভাবে আটকেও থাকতে পারে। এটা সাধারণত নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না। কিন্তু নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি , অনেক সময় এই কাটা এতটাই বাজেভাবে আটকে যায় যে এক মাস পর্যন্ত গলায় আটকে থাকে। এমনকি অনেকেই বলেছেন এক বছর পরেও গলায় আটকে যাওয়ার অস্বস্তিতে ভুগছেন অনেকেই। এমনটা হতে পারে যে তারা সঠিক কোন উপায় অবলম্বন করেনি কিংবা ডাক্তারের কোন পরামর্শ নেয়নি। হয়তো তন্ত্র মন্ত্র করে সেই আশাতে বসে রয়েছেন যে কখনো না কখনো গলায় আটকে থাকা কাটা নেমে যাবে। 

২. গলায় কাটা আটকে যাওয়ার কারণ? 

✓ গলাতে মাছের কাঁটা আটকে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। যেমন তাড়াহুড়ো করে খাওয়া, আলসেমি করে মাছের কাঁটা না বাছা, অথবা দুর্ঘটনাবশত মাছের কাঁটা কিংবা মাংসের হাড় হুডটি গলায় আটকে যাওয়া। এর মূলত স্পেসিফিক কোন কারণ নেই। বলা যায় এটা একটা দুর্ঘটনা। 

৩. গলায় কাটা নামানোর টিপস 

গলায় কাটা আটকে গেলে করণীয় কাজ হিসেবে কি করতে পারেন সেগুলো আমরা ইতোমধ্যে উল্লেখ করেছি। আশা করছি উক্ত টিপস গুলো ফলো করলে খুব সহজে আপনার গলায় আটকে যাওয়া কাটাটি নেমে যাবে দ্রুত। 

৪. গলায় কাটা আটকে গেলে কি খেতে হয়? 

✓ গলায় আটকে যাওয়া কাটা নামানোর জন্য মুড়ি, সাদা ভাত, কলা, রুটি, লেবুর রস ইত্যাদি খেতে পারেন। কেননা ইতিমধ্যে 100 জনের মধ্যে ৮০ জন এই ধরনের খাবার খেয়ে গলার কাঁটা নামিয়ে ফেলতে পেরেছেন। 

৫. বিড়ালের পা ধরলে কি গলার কাঁটা নেমে যায়? 

✓ বিষয়টা অনেক বেশি হাস্যকর, সত্যি বলতে এটা একটি কুসংস্কার। বিড়ালের পা ধরে গলার কাঁটা নামার গল্প শুধু গল্প কাহিনীতে সম্ভব, এটা কখনোই বাস্তবে সম্ভব নয়। তাই এ ধরনের কোন কথা যদি শুনে থাকেন তাহলে বলব এটা একদমই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা একটা বিপজ্জনক ঘটনা যে আপনার গলায় কাটা আটকে গেছে, তাই প্রথমত ঘরোয়া উপায়ে কাটা নামানোর চেষ্টা করুন যদি সেটা না হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কাটানো মনের ব্যবস্থা করুন। 

৬. গলায় হাড় নামানোর দোয়া কি?

✓ গলায় মাছের কাঁটা আটকে যাওয়ার দোয়া এবং গলায় মাংসের হাড় বেঁধে থাকলে ওই একই দোয়া পাঠ করে শাহাদত আঙ্গুল দিয়ে মালিশ করলে যারা ফু দিলে অনেক সময় সেটা গলার নিচে নেমে যায়। অতএব গলার হাড় নামানোর দোয়া হলো – আউযুবিল্লাহির মিনার শাইতনির রাজিম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,“ফালাওলা ইযা – বালাগাতিল হুলকুম।” 

পরিশেষে: তো পাঠক বন্ধুরা, গলায় কাটান নামানোর দোয়া নিয়ে এই ছিল আমাদের আজকের আলোচনা। আশা করি আমাদের দেওয়া পরামর্শ আপনার এই অস্বস্তিকর অনুভূতি থেকে মুক্তি দানে সহযোগিতা করবে। মনে রাখবেন, আমাদের জন্য এটা অনেকটাই বিপদজনক। তাই খাবার খাওয়ার সময় ধীরে ধীরে খাবার খাবেন, মাছ বা মাংস খাওয়ার সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করবেন। পাশাপাশি অবশ্যই বাচ্চাদেরকে মাছ খাওয়ানোর সময় অতিরিক্ত সতর্ক থাকবেন। সবার জন্য শুভকামনা, সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ। 

All Easy Google News
Setu
Setu

Assalamu Alaikum, I am Setu. An ordinary girl studying in honors. Currently engaged in the world of technology. I am very passionate about blogging and writing. I like to learn and share something new😇

Articles: 138

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *