চ্যাটজিপিটির কারণে উচ্চ ঝুঁকিতে পড়বে যেসকল পেশা– ওপেন এআই দ্বারা তৈরীকৃত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাট জিপিটি, যাকে বলা হয়, প্রি-ট্রেইনড ট্রান্সফর্মার। আমরা সবাই জানি– চ্যাট জিপিটির ব্যবহার বিধি ও চ্যাট জিপিটির কাজ সম্পর্কে। আর তাই স্বাভাবিকভাবেই এখন প্রশ্ন জাগছে মনে– এই ওপেন এআই চ্যাট জিপিটির কারণে কি উচ্চ ঝুঁকিতে পরতে পারে কোন পেশা! আজ মূলত আমাদের এই নিবন্ধনটিতে আমরা এ সম্পর্কেই বিস্তারিত আলোচনা করব।
কেননা প্রত্যেকটি জিনিসের সুবিধা ও অসুবিধা অর্থাৎ ভালো এবং মন্দ দুইটি দিক থেকে থাকে। তাই চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করে আমরা যেমন বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করছি, ঠিক একইভাবে বেশ কিছু অসুবিধাও ভোগ করতে হবে এটির । তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক- চ্যাট জিপিটি আমাদের জন্য কতটা ঝুঁকিপূর্ণ এবং কোন কোন পেশাজীবিদের চাকরি চলে যেতে পারে চ্যাট জিপিটি অপেন এআই এর কারণে! আরও পড়ুনঃ চ্যাট জিপিটি ব্যবহারের নিয়ম.
চ্যাটজিপিটির কারণে উচ্চ ঝুঁকিতে পড়বে যেসকল পেশা
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে– আমরা যা কল্পনা করি, আমাদের মস্তিষ্ক যেটা চিন্তা করে তার থেকে অধিক বেশি শক্তিশালী chat জিপিটি। কেননা আমাদের থেকে এই চ্যাট বট অধিক বেশি কল্পনা করতে পারে চিন্তা করতে পারে দ্রুত। আর এই কারণকে সামনে রেখেই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন– চ্যাট জিপিটির কারণে ভবিষ্যতে ঝুঁকিতে পড়তে পারে বেশ কয়েকটি পেশা। সেটা হতে পারে প্রযুক্তি নির্ভর চাকরি অথবা অন্য যে কোন পেশা।
আর তাছাড়াও প্রশ্ন হচ্ছে– চ্যাট জিপিটির কারণে চাকরি হুমকির মুখে পড়বেই না বা কেন! যেহেতু এর সক্ষমতা অনেক বেশি এবং অধিক বেশি বিস্মিতকারি! দেখুন আপনি যদি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা রাখেন তাহলে এটা নিশ্চয়ই জানেন জিপিটি এমন একটি ওপেন এআই অ্যাপ্লিকেশন যেখানে আপনি আপনার যেকোন প্রশ্নের সমাধান পেয়ে যাবেন।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন- চ্যাট জিপিটি কিভাবে কাজ করে.
আজকাল কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ চ্যাট জিপিটির সাহায্যে হর হামেশাই আপনি সিভির কভার লেটার লিখতে পারেন অথবা যে কোন বই যেকোনো আর্টিকেল ইউনিক আকারেও লিখতে পারেন। এমনকি যেকোনো অনুষ্ঠান আয়োজনের যদি বক্তব্য দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে সেটাও লিখে নিতে পারেন চ্যাট জিপিটির মাধ্যমে। আর আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বাড়ির কাজ করে ফেলা তো একদম হাতের মুঠোয়। কেননা সকল ধরনের প্রশ্নের ইউনিক উত্তর দিতে সর্বদা প্রস্তুত এবং সক্ষম চ্যাট জিপিটি।
তাছাড়াও ইতিমধ্যে একটা গবেষণায় বলা হয়েছে– আগামী ২০ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৪৭ শতাংশ চাকরি এ আই দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে। আজ থেকে প্রায় ১০ বছর আগে করা এই ভবিষ্যৎবাণী এখন মূলত সত্যি হওয়ার পথে। কেন না বর্তমানে চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করে এমন অনেক কাজ চলছে এবং হচ্ছে। আরেকটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে– এ আই প্রযুক্তি বিশ্বব্যাপী অন্তত ৩০ কোটি চাকরি কেড়ে নেবে। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন চাকরির বাজারের স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে চ্যাট-জিপিটি।
তবে হ্যাঁ কোন চাকরি গুলো খুব সহজেই ঝুকির মুখে ফেলতে পারে চার জিপিটি সেগুলো জানতে নিচের পয়েন্টটি এক নজরে পড়ে ফেলুন। কেননা এ পর্যায়ে আমরা চেয়ার ডিভিডির কারণে উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে এমন কিছু পেশার নাম উল্লেখ করব।
চ্যাটজিপিটির কারণে যে ধরনের চাকরি হুমকির মুখে
চ্যাট জিপিটির কারণে উচ্চ ঝুঁকিতে পড়বে নিম্ন বর্ণিত পেশাগুলো। যথা:
- আইন পেশা
- শিক্ষকতা
- বাজার গবেষণা বিশ্লেষণ
- আর্থিক খাতের পেশা
- পুঁজিবাজারের চাকরি
- রিক্রুটার
- ট্রান্সস্ক্রিপশানিস্ট
- অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্টাডিউলার
- নিউজ রিপোর্টার
- ট্রাভেল এজেন্ট
- ডাটা এন্ট্রি ক্লার্ক
- কাস্টমার সার্ভিস রিপ্রেজেন্টেটিভ
- গণমাধ্যম
- প্রুফরিডার
- বই কিপার
- অনুবাদক
- কপিরাইটার
- সফটওয়্যার ডেভেলপার
- ওয়েব ডেভেলপার
- কম্পিউটার প্রোগ্রামার
- কোডার এবং তথ্য বিশ্লেষক
- মার্কেট রিসার্চ অ্যানালিস্ট
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
- টেলিমার্কেটার
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
- প্রতিলিপিবিদ
- ট্রাভেল এজেন্ট
- প্রাইভেট টিউটর
- টেকনিক্যাল সাপোর্ট অ্যানালিস্ট
- ই-মেইল মার্কেটার
- নিয়োগকারী
- মডারেটর সহ প্রভৃতি।
আরও পড়ুনঃ চ্যাটজিপিটির প্রতিষ্ঠাতা কে | চ্যাট জিপিটি আবিষ্কারক কে জানুন
চ্যাট জিপিটির প্রভাব কেন চাকরির ওপরে পরবে?
আমাদের উল্লেখিত পেশাগুলো সম্পর্কে জানার পর স্বাভাবিকভাবেই যে কারো মনে প্রশ্ন জাগতে পারে- চ্যাট যে পিটির প্রভাব কেন পেশার উপর পড়বে। কেনই বা থাকবে না চাকরিজীবীদের চাকরি! দেখুন আপনি নিশ্চয়ই এটা জানবেন যে চ্যাট জিপিটির মূল আকর্ষণ হচ্ছে মানুষের মত যে কোন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এবং দ্রুত ও নির্ভুলভাবে কাজ সম্পাদন করা।
আর তাই স্বাভাবিকভাবেই এটি প্রযুক্তি নির্ভর চাকরির ওপর প্রভাব বিস্তার করবে এটা বোঝাই যাচ্ছে। পাশাপাশি চার জিপিটি মানুষের চেয়ে দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে বিভিন্ন কাজ করতে পারে বিধায় আইন পেশা, বাজার গবেষণা বিশ্লেষণ সহ শিক্ষকতা, আর্থিক খাতের চাকরি পুঁজিবাজারের কাজেও বিশেষ প্রভাব ফেলবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন, চ্যাট জিপিটি মূলত কিভাবে ঝুঁকির মুখে ফেলতে চলেছে উক্ত পেশা গুলোকে।
তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, চ্যাট জিপিটি যেহেতু আমাদের সুবিধা হিসেবে অনেক কিছুই দিচ্ছে তাহলে চাকরির ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি তৈরি আপনার কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। সেই সাথে আপনি যদি চ্যাট জিপিটির প্রতিষ্ঠাতা এবং চ্যাট ডিপিটির কার্যকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এই সম্পর্কিত আর্টিকেলগুলো পড়ে ফেলতে পারে । সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আরও দেখুনঃ