ভালোবাসা কিভাবে হয়, ভালোলাগা থেকেই কি প্রতিটি মানুষের জীবনে প্রথম ভালোবাসার শুরু হয়! ভালোবাসার সঠিক অর্থ কি, আর সত্যিকারের ভালোবাসা আসলে কেমন হয়? সেইসকল প্রশ্ন আর তার সমাধান নিয়েই সাজানো হয়েছে আমাদের আজকের এই পর্ব টি।
ভালোবাসা তো সকলেই চাই আমরা। কিন্তু সত্যি কারের ভালোবাসা বোঝার উপায় কি এবং ভালোবাসা মূলত কিভাবে হয়ে থাকে আর কেনই বা মানুষ মানুষকে স্পেশাল ভাবে ভালবাসে সেটাই এখন জানার বিষয়। তাহলে আসুন, ভালোবাসার বৈজ্ঞানিক সূত্র এবং ভালবাসা কিভাবে হয় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
আরও পড়তে ভিজিট করুনঃ- ক্যারিয়ার টিপস
ভালোবাসা কিভাবে হয়?
ভালোবাসা তৈরি হয় মনের এক গোপন অনুভূতি থেকে। যার নেই কোন ভাষা, নেই কোন বর্ণনা, নেই কোন সংজ্ঞা। ভালোবাসা আপন খেয়ালেই হয়ে থাকে। তাই সত্যি বলতে, ভালোবাসা কিভাবে হয়– এই প্রশ্নের নেই কোন সুনির্দিষ্ট উত্তর। একটা মানুষ কেন ভালোবাসে, কি দেখে ভালবাসে, কিভাবে ভালবাসে এটা প্রকৃতভাবে কখনোই প্রকাশ করতে পারে না। কেননা ভালোবাসা একটি অন্যরকমের অনুভূতি। যার বর্ণনা বা ব্যাখ্যা একেকজনের কাছে একেক রকম।
এছাড়াও একটু ভিন্নভাবে বললে বলা যায়– ভালোবাসা হয় একপ্রকার টর্চার অথবা একপ্রকার মায়া থেকে। কেননা কিছু কিছু ভালোবাসার সম্পর্ক শুরু হয় মিষ্টি মুহূর্ত থেকে, আবার কিছু কিছু ভালোবাসার সম্পর্ক শুরু হয় ঝগড়া বিবাদ এর মধ্য থেকে। একেকজনের ভালবাসার গল্প, এক একজনের ভালবাসার কাহিনী, একেকজনের ভালবাসার অনুভূতি একেক রকম।
তবে কিভাবে ভালোবাসা হয় বা ভালোবাসা কিভাবে হয়? যদি এর সুনির্দিষ্ট অর্থ বলতে যাই, তাহলে বলা যেতে পারে:- ভালো লাগা, খারাপ লাগা, মায়া, অজানা অনুভূতি আর নিজের ভালো থাকার উচ্ছ্বাসা থেকেই ভালোবাসা তৈরি হয়।
সত্যিকারের ভালোবাসা কেমন হয়
সত্যিকারের ভালোবাসা হয় প্রচন্ড রকমের স্নিগ্ধ ও মনমুগ্ধপূর্ণ। তবে সেই ভালোবাসা বাহিরের সকলে সম্পূর্ণভাবে উপলব্ধি করতে পারবে না। তবে আপনার এবং আপনার সেই বিশেষ মানুষের মধ্যে যদি সত্যি কারের ভালোবাসা থেকে থাকে তাহলে আপনি এবং সে সেটা বিশেষভাবে অনুভব করতে পারবেন।
একটি সম্পর্কে মূলত ঝগড়া দন্দ কলহ থেকে থাকে। কিন্তু যারা প্রকৃতপক্ষে একে অপরকে ভালোবাসে তারা হাজারো বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে একসঙ্গে থাকে এবং একসঙ্গে বেঁচে থাকার অঙ্গীকারবদ্ধ হয়। এবার আসুন জেনে নেই ভালোবাসা কিভাবে বোঝা যায়!
ভালোবাসা কিভাবে বুঝা যায়
ভালোবাসা এমন একটা জিনিস যা বাইরের রূপ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কোন কিছু দেখে হয় না। এটা আসে মনের মধ্যে থেকে। আপনি যদি কাউকে সত্যি সত্যি ভালোবেসে ফেলেন তাহলে সেটা কাউকে বলে বোঝাতে হবে না মূলত আপনি নিজেই সেটা উপলব্ধি করতে পারবেন।
তবে সাধারণত মানুষের মাঝে যে অনুভূতিগুলো প্রকাশ পায় সেগুলোই আমরা আলোচনার এ পর্যায়ে সাজেস্ট করব। যথা:-
ভালোলাগা থেকে:- ভালোবাসা বোঝা যায় ভালোলাগার অনুভূতি থেকে। কেননা মানুষ সচরাচর ভালো লাগা থেকেই ভালোবাসায় পরে। তবে সবার ক্ষেত্রে একরকম নাও হতে পারে। তবে যদি একটু ভিন্নভাবে চিন্তা করেন তাহলে এটা নিশ্চয়ই আপনার মাথায় ধরবে– যে আপনি যাকে ভালবাসেন বা যাকে আপনি পছন্দ করেন সে আপনার চোখে সবচেয়ে সুন্দর। বাস্তবে ওই মানুষ দেখতে যেমনই হয়ে থাকুক না কেন। অর্থাৎ তাকে আপনার ভালো লাগে এবং সে আপনার মনের মতো বিধায় আপনি তাকে ভালবাসেন।
খারাপ লাগা থেকে:-অনেকেই হয়তো অবাক হতে পারেন যে খারাপ লাগা কিভাবে ভালোবাসার সৃষ্টি করে? তবে যারা ইতিমধ্যে প্রেমে পড়েছেন বা কাউকে সত্যি সত্যি ভালোবাসেন তারা নিশ্চয়ই এটা উপলব্ধি করতে পারছেন– খারাপ লাগার অনুভূতি বিশেষভাবে বুঝিয়ে দেয় কাউকে আপনি কতটা ভালোবাসেন।
কেননা ভালোবাসার মানুষ হয়ে থাকে অন্য সকলের থেকে আলাদা। যাদের কাছ থেকে পাওয়া একটু আঘাত, একটু অবহেলা প্রচন্ড কষ্টের পাহাড় দাঁড় করিয়ে দেয় মনের গহীনে সৃষ্টি করে খারাপ লাগার বাজে অনুভূতি। যেটা আপনি বলেও প্রকাশ করতে পারবেন না এবং ব্যবহারের প্রকাশ করতে পারবেন না।
তাই যদি কারো কাছ থেকে প্রচন্ড বাজে খারাপ লাগার অনুভূতি পেয়ে থাকেন। তাহলে বুঝবেন আপনি তাকে সত্যি সত্যি ভালোবাসেন। আর তাই তার কথায় আপনার এতটা গুরুত্ব এবং আপনি তার কথায় এতটা সেনসিটিভ আচরণ করছেন।
হ্যাপিনেস থেকে: ভালোবাসা মানুষকে প্রচন্ড রকমের খুশি করে তোলে। তাই আপনি যদি প্রচন্ডভাবে আনন্দিত হয়ে যান কারো জন্য, এবং তার সঙ্গে কাটানো বিশেষ মুহূর্তগুলো আপনার হ্যাপিনেস এর কারণ হয়ে থেকে। তাহলে ধরে নিতেই পারেন তাকে আপনি সত্যি সত্যিই ভালোবেসে ফেলেছেন। কেননা ভালোবাসায় ভালোলাগা খারাপ লাগা এবং প্রচন্ড রকমের আনন্দের সোচ্চার হয়ে থাকে।
মানুষ প্রেম করে কেন?
মানুষ প্রেম করে কেন– এটা একটা অনর্থক প্রশ্ন বলা চলে। কেননা প্রেম এবং ভালবাসা এটা একটা প্রকৃতির নিয়ম বলতে পারেন আপনি। মূলত প্রেম ভালোবাসা রয়েছে জন্যেই আমরা মানুষ। কারোপ্রতি মায়া থেকে সৃষ্টি হয় ভালোবাসার। আর ভালোবাসা মানুষকে আপন করতে সাহায্য করে।
এক একটি মানুষ সাধারণত ভিন্ন ভিন্ন কারণ কে কেন্দ্র করে প্রেম করে থাকে বা প্রেমে পড়ে থাকে। সেটা হতে পারে:–
- নিঃসঙ্গতা দূর করতে
- অনুভূতি প্রকাশ করতে
- নিজেকে সম্পূর্ণরূপে উপস্থাপন করতে
- সৃজনশীল চিন্তার জন্য
- প্রকৃতির খেয়ালে বা প্রকৃতির ক্রমবর্ধমান ধারায়।
মানুষকে কিভাবে ভালবাসতে হয়
একটা মানুষকে মূলত উভয় পক্ষের ভালোলাগার দিক বিবেচনা করে ভালবাসতে হয়। কেননা প্রকৃতির নিয়ম-এ মানুষের কিছু কিছু চাহিদা থেকে থাকে। প্রত্যেক মানুষের চিন্তাধারা, প্রত্যেক মানুষের ইচ্ছা, প্রত্যেক মানুষের চাওয়া পাওয়া আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। আর তাই আপনি যে মানুষকে ভালবাসবেন অবশ্যই তার মত করেও আপনাকে ভালবাসতে হবে এবং নিজেকে হ্যাপি রাখার জন্য নিজের মতো করেও তাকে ভালবাসতে হবে।
এক কথায়– সেক্রিফাইসের মাধ্যমে মানিয়ে নিতে হবে দুজনকে। যদি বলেন মানুষকে কিভাবে ভালবাসতে হয় তাহলে এর উত্তর হবে– বিপরীত সেই মানুষকে মানিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে তাকে ভালো রেখে এবং নিজেকে ভালো রাখাঢ় মধ্য দিয়ে আপনার সেই প্রিয় মানুষকে ভালবাসতে হবে, যে ভালবাসার মধ্যে আপনি পুরপুরি ভাবে হ্যাপিনেস খুঁজে পাবেন।
আর হ্যাঁ, মজার এবং অত্যন্ত আশ্চর্যের একটা কথা হচ্ছে– আমি তোমাকে ভালোবাসি এটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মিথ্যে কথা। এখন অনেকেই নিশ্চয়ই এটা ভেবে উল্ট প্রশ্ন করতে পারেন– তাহলে কি আপনাকে কেউ ভালবাসে না!
উত্তরে বলব- হ্যাঁ অবশ্যই আপনাকে মন থেকে কেউ না কেউ ভালোবাসে। তবে যে মানুষটি আপনাকে স্পেশাল ভাবে ভালবাসে সে মূলত আপনার জন্য নয় বরং তার নিজের জন্য আপনাকে ভালোবাসে। কেননা মানুষ সাধারণত তার ভালোবাসার মানুষের হাসি, আনন্দ, ভালোলাগা থেকে নিজের ভালোলাগাকে খুঁজে পায়।
আর তাই সব সময় সেই ভালোবাসার মানুষটিকে ভালো রাখার চেষ্টা করে, সুখী রাখার প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু মূল কথায় যদি ফিরে আসি তাহলে এটাই উঠে আসে যে, একটা মানুষ ঘুরে ফিরে নিজেকে সুখী রাখার জন্য নিজেকে আনন্দে রাখার জন্য তার সেই ভালোবাসার মানুষকে আগলে রাখে এবং তাকে খুশি করার চেষ্টা করে। কেননা কাউকে প্রকৃত অর্থে ভালবাসলে তার ভালোলাগা এবং আনন্দেই নিজের ভালোলাগার অনুভূতি কাজ করে।
ভালোবাসার জন্য কি দরকার
ভালোবাসার জন্য দরকার বিশ্বাস, বন্ধুত্ব সুলভ একটি মন এবং ধৈর্য ও সেক্রিফাইস করার সক্ষমতা। একটা সম্পর্ক টিকে থাকার ক্ষেত্রে বিশেষের কতটা গুরুত্ব রয়েছে সেটা নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পারবেন। আর বন্ধুত্বতো মাস্ট থাকতেই হবে। কেননা সুন্দর বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকলেই একটা মানুষ সবকিছু তার সাথে শেয়ার করতে পারে। সেটা ভালোলাগা হোক অথবা খারাপ লাগা।
সেই সাথে একটা সম্পর্কে সাধারণত ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকে। সেটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে হোক বা সার্বিক পরিস্থিতির কারণে। কিন্তু যাই হয়ে যাক না কেন ভালোবাসার মানুষটির হাত ছাড়া যাবে না এটাই হচ্ছে মূল কথা। তাই যদি কাউকে ভালবাসতে চান এবং তাকে ভালো রাখতে চান তাহলে অবশ্যই ধৈর্য এবং সেক্রিফাইস করার মন-মানসিকতা থাকতে হবে আপনার।
কারো প্রতি অনুভূতি থাকা মানে কি?
কারো প্রতি অনুভূতি থাকা মানেই ভালোবাসা, এই কথাটা কিছুটা সত্য এবং কিছুটা মিথ্যে। কেননা মানুষ অনুভূতি সম্পন্ন এক ব্যক্তিত্ব। তাই একের অধিক মানুষকে দেখে ভালোলাগার অনুভূতি কাজ করতেই পারে। কিন্তু বিশেষভাবে যদি কাউকে ভালো লেগে যায় এবং তাকে আপনি গভীরভাবে অনুভব করেন, সে মানুষটি আপনার জীবনের একটি অংশ হয়ে যায় এবং সবকিছুর সাথে আপনি যদি তাকে খুঁজতে থাকেন তাহলে বলা যায় এই ধরনের অনুভূতি মানে ভালোবাসা।
কেননা সাধারণত একটা মানুষ যদি কাউকে মন থেকে ভালোবেসে থাকে তাহলে তাকে সর্বক্ষণ পাশে রাখার চেষ্টা করবে এবং তার এই ইচ্ছাটাও প্রবন হতে থাকবে। মানুষ সাধারণত ভালোবাসার মানুষটিকে কাছে চায়। কেননা ভালোবাসার অনুভূতি মানুষকে কখনো দূরে রাখতে পারে না।
আমরা মানুষের প্রতি আকৃষ্ট হই কেন?
সচরাচর অনেকেই এই প্রশ্নটি করে থাকেন যে, আমরা মানুষের প্রতি আকৃষ্ট হই কেন? সত্যি বলতে এটা খুবই কমন একটা ব্যাপার। মানুষ অনুভূতি সম্পন্ন জীব। সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করা মানুষের ধর্ম। আর প্রকৃতির সৃষ্টি হওয়ার শুরু থেকে মানুষ সর্বদা পারিবারিক রীতিনীতি মেনে একসঙ্গে বসবাস করছে। আর একটা মানুষ ভীষণভাবে দুর্বল হয়ে থাকে মায়া এবং অনুভূতির কারণে।
আর তাছাড়াও, সৃষ্টিকর্তা মানুষের মাঝে মায়া মহাব্বত এগুলো বিরাজমান রেখে তৈরি করেছে সৃষ্টির সেরা জীব কে। আমরা যেন মিলেমিশে থাকতে পারি একজন মানুষ যেন ওপর একটা মানুষকে সকল বিপদ-আপদে সকল পরিস্থিতিতে সাহায্য করতে পারে এজন্যই মূলত মানুষের মাঝে একটি অন্যরকমের সম্পর্ক বিরাজ করে এবং আমরা সচরাচর মানুষের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে থাকি।
তবে যদি আপনি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হওয়ার কথা বলেন তাহলে এটা মূলত ছেলে এবং মেয়ে বিপরীত লিঙ্গের মানুষের জন্য স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। কেননা একটা ছেলে স্বাভাবিকভাবেই একটা মেয়েকে দেখে আকৃষ্ট হতে পারে আবার ঠিক একইভাবে একটা মেয়ে একটা ছেলেকে দেখেও আকৃষ্ট হতে পারে অর্থাৎ উভয়পক্ষেরই ভালো লাগতে পারে। কেননা এটাই প্রকৃতির নিয়ম।
ভালোবাসার বৈজ্ঞানিক সূত্র
ইতিমধ্যে আমরা যে আলোচনাটুকু করেছি এটা মূলত সচরাচর মানুষের মাঝে যেগুলো ঘটে থাকে তার ওপর ভিত্তি করে। তবে এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক ভালবাসার বৈজ্ঞানিক সূত্র। মূলত বিজ্ঞানীরা মানুষের প্রেম ভালোবাসা নিয়ে ইতিমধ্যে কি পেয়েছেন এবং এটাকে সংজ্ঞা হিসেবে কিভাবেই বা প্রকাশ করেছেন!
মনোবিজ্ঞানীদের মতে– একজন মানুষ অন্য কারো প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে তাদের মস্তিষ্ক মোট চার মিনিট নব্বই সেকেন্ড সময় নয় এমনটাই গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে। সে সাথে আরও জানা গিয়েছে মানুষের মস্তিষ্ক বিপরীত সেই মানুষের প্রেমে পড়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তির কিছু বিষয় বিবেচনা করে। তার মধ্যে ৯৫% হচ্ছে অঙ্গভঙ্গি এবং বাহ্যিক রূপ আর বাকি ৩৮ শতাংশ কণ্ঠস্বর কথা বলার ভঙ্গি এবং ৭% তাদের মূল বক্তব্য ও ব্যক্তিত্ব।
এছাড়াও বিজ্ঞানীরা প্রেমের স্তরকে তিনটি ভাগে ভাগ করেছে। কেননা তিনটি স্তরে ভিন্ন ভিন্ন হরমোন ও রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা পরিচালিত হয় এমনটাই জানা গিয়েছে গবেষণায়। সেই তিনটি পর্যায় হচ্ছে:-
- ভালোবাসার ইচ্ছে
- আকর্ষণ এবং
- সংযুক্তি
আর হ্যাঁ, বিজ্ঞানীরা আরো বলেছেন— যখন একটা মানুষের কাউকে প্রচন্ডভাবে ভালো লেগে যায় তখন তার মাঝে ভালোবাসার ইচ্ছে সচ্ছারিত হয়। আর যদি সে ছেলে হয়ে থাকে তার ভিতরে টেসট্রন হরমোন নিঃসৃত হয়। অন্যদিকে যদি সে মেয়ে হয়ে থাকে তাহলে ইস্ট্রোজেন হরমোন মিশ্রিত হয়। যে হরমোন দুইটি দীর্ঘদিন ভালোলাগার ফলে এক ধরনের আকর্ষণ বোধ এর সৃষ্টি করে।
তাহলে এই বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে বলা যায় বিজ্ঞানীদের মতে– ভালোবাসার ইচ্ছে, আকর্ষণ এবং সংযুক্তির মূলত কাউকে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। এবার আসুন জেনে নেই ভালোবাসা গভীর করার উপায়।
ভালোবাসা গভীর করার উপায়
ভালোবাসা গভীর করার উপায় হচ্ছে:-
- নিজেকে সেই মানুষের কাছে সম্পূর্ণভাবে উপস্থাপন করা
- সব সময় দুজনের মাঝে সত্যতা বিরাজ করা
- নিজের ভালোলাগা গুলো শেয়ার করা এবং খারাপ লাগা গুলোও একে অপরকে জানানো।
- সেক্রিফাইস করার মন মানসিকতা তৈরি
- দুজন দুজনকে ভালো রাখার অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়া এবং
- হ্যাপি থাকার জন্য সর্বদা একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে চলা এবং সকল পরিস্থিতিতে একে অপরের পাশে থাকা।
তবে হ্যাঁ, আরেকটা কথা হচ্ছে– ভালোবাসা মূলত যে কোন মানুষের সাথে হতে পারে। সেটা হতে পারে বাবা, মা, ভাই, বোন আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব পাড়া প্রতিবেশীর মাঝেও। কিন্তু আজকের এই আর্টিকেলটি মূলত আমরা একটি ছেলে এবং একটি মেয়ের মাঝের ভালোবাসার বিষয়কে কেন্দ্র করে গুরুত্বপূর্ণ টপিক গুলো আলোচনা করেছি।
তো বন্ধুরা, আজকের আলোচনার ইতি টানছি এখানেই। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং সবাই সবার নিজ নিজ মানুষদের ভালো রাখার চেষ্টা করুন। পরবর্তীতে আবারো নতুন টপিকের নতুন কোন আলোচনায় আপনাদের সাথে কথা হবে। সবাইকে আল্লাহ হাফেজ।
আরও দেখুনঃ