ফার্মেসির জন্য সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ঃ ফার্মেসিতে চাকরি করতে চাইলে এবং ক্যারিয়ার হিসেবে ফার্মেসি চাকরিকে সিলেক্ট করলে অবশ্যই আপনার মনে এই প্রশ্নটি এসেই থাকবে যে– ফার্মেসি জন্য সেরা বিশ্ববিদ্যালয় কোনটি? কেননা সরকারি বেসরকারি দেশ ও বিদেশে অসংখ্য ফার্মেসি জন্য সেরা বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে ফার্মেসির জন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়টি অধিক বেশি ভালো!
আজকের এই আর্টিকেলে মূলত আমরা ঐ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জানাবো আপনাদেরকে। মানে কম খরচে ফার্মেসির জন্য কোন কোন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সেরা, ফার্মেসি পড়ার জন্য কোন প্রাইভেট ভার্সিটি ভালো হবে, ফার্মেসির জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এর নাম, ফার্মেসি পড়ার সেরা প্রাইভেট ভার্সিটি সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব আজকের এই পর্বে।
তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক– ফার্মেসি জন্য সেরা বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ কোনগুলো এবং সেগুলোতে পড়াশোনা করলে কেমন মানের ফার্মেসি চাকরি পাওয়া সম্ভব হবে!
ফার্মেসি জন্য সেরা বিশ্ববিদ্যালয় কোনটি?
ফার্মেসি শিক্ষা গ্রহণের জন্য বিশ্বে অনেক গুণগত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। নীচে দেওয়া হলো ১০টি প্রস্তুত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, যেখানে ফার্মেসি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। যথা:-
- মাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (MIT). যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেমব্রিজে অবস্থিত।
- হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেমব্রিজে অবস্থিত।
- ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (UC Berkeley). যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত।
- উক্লাহোমা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা রাজ্যে অবস্থিত।
- ওকলাহোমা সিটি বিশ্ববিদ্যালয়, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা সিটি, ওকলাহোমা রাজ্যে অবস্থিত।
- লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়, যা যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত।
- ওস্লো বিশ্ববিদ্যালয়, যা নরওয়েজের ওস্লোয় অবস্থিত।
- সুইস ফেডারেল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (ETH Zurich), যা সুইজারল্যান্ডের জুরিখে অবস্থিত।
- উট্রেখ্ট বিশ্ববিদ্যালয়, যা নেদারল্যান্ডসের উট্রেক্টে অবস্থিত।
- মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়, যা সুইসারল্যান্ডের মোনাকোয় অবস্থিত।
মূলত ফার্মেসি ক্যারিয়ার নিয়ে আপনি যদি প্রফেশনাল লেভেলে অবস্থান করতে চান তাহলে এ এই ভার্সিটিগুলো আপনার জন্য সবচেয়ে বেশি ভালো হবে। তবে এক্ষেত্রে আপনার বাজেট হাই হতে হবে বুঝতেই পারছেন। এবার আসুন জেনে নেই, ফার্মেসির জন্য কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভালো!
আরও পড়ুনঃ টেরিটরি সেলস ম্যানেজার এর কাজ কি.
ফার্মেসির জন্য কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো?
ফার্মেসি শিক্ষার জন্য ভালো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় গুলো ভারতে অবস্থিত। তবে সবচেয়ে সেরা বৃহত্তর ও বিখ্যাত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অবস্থান করছে পাঁচটি প্রখ্যাত ভার্সিটি। সেগুলো হলো:-
- জমিয়া হামদর্দ, নিউ দিল্লি (Jamia Hamdard, New Delhi)
- ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফার্মেসি, মহারাষ্ট্র (National Institute of Pharmacy, Maharashtra)
- প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, কোয়েম্বাতোর me(Presidency University, Kolkata)
- পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়, চণ্ডীগড় (Punjab University, Chandigarh)
- বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তর প্রদেশ (Banaras Hindu University, Uttar Pradesh)
তাই ফার্মেসি শিক্ষার জন্য আপনি চাইলেই ভারতের এই কয়েকটি ভার্সিটির মধ্যে থেকে যে কোন একটি কে নির্বাচন করতে পারেন পড়াশোনার জন্য. অন্যদিকে আমাদের বাংলাদেশেও কিছু ভালো ফার্মেসি শিক্ষা প্রদান করা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। মূলত ঐ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য ও সুখ্যাত ফার্মেসি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো:-
- ঢাবি বিশ্ববিদ্যালয় (University of Dhaka)
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (University of Chittagong)
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (University of Rajshahi)
- খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (Khulna University)
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (Jagannath University)
- বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় (Bangladesh University)
কেননা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ফার্মেসি শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলি আছে, এবং এগুলি ফার্মেসি শিক্ষার স্তর এবং গুণমান উন্নত করার জন্য ভাল সুযোগ প্রদান করে।
তবে হ্যাঁ, যদি আপনার প্রশ্ন থেকে থাকে এটি যে ফার্মেসি পড়ার জন্য কোন প্রাইভেট ভার্সিটি সবচেয়ে ভালো হবে, তাহলে ইতোমধ্যে উল্লেখিত ভার্সিটিগুলোর পাশাপাশি আমরা মূলত হাতে আরো পাঁচটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম সাজেস্ট করব। কেননা আপনি মূলত এই ভার্সিটিগুলোতেও বেশ ভালো ফার্মেসি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হবেন এবং আপনার জন্য সম্ভাবনাময় চাকরির সুযোগ থাকবে।
তাই ফার্মেসি পড়ার জন্য প্রাইভেট ভার্সিটি হিসেবে নিজের পাঁচটি ভার্সিটির মধ্যে থেকে যেকোনো একটি নির্বাচন করতেই পারেন আপনি। যথা:-
- NSU,
- BRACU,
- AIUB,
- IUB,
- EWU
বাংলাদেশের সেরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর নাম
আলোচনার এ পর্যায়ে বাংলাদেশের সেরা কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম তুলে ধরব আপনাদের জন্য। কেননা অনেকেই রয়েছেন যারা বাংলাদেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জানেন না আর তাই পড়াশোনার জন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয় কে বাছাই করবেন সেটাতেও বেশ সমস্যার শিকার হন।
তাই বাংলাদেশের সেরা কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো। যথা:-
- ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় (BRAC University)
- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ (North South University)
- ঐশীয়া বিশ্ববিদ্যালয় (Asian University of Bangladesh)
- ঐবিউ (Ahsanullah University of Science and Technology)
- সওদি আরব ইউনিভার্সিটি, ঢাকা (Saudi Arabian University, Dhaka Campus)
- ইস্লামী ইউনিভার্সিটি, ঢাকা (Islamic University, Dhaka Campus)
- ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (Dhaka International University)
- প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ঢাকা (Premier University, Chittagong)
- দারুল ইসলাম উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয় (Darul Ihsan University, Uttara)
আরও পড়ুনঃ শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায়
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি অনার্স/মাস্টার্স কোর্স প্রোগ্রাম অধ্যয়ন করার সুযোগ রয়েছে। ফার্মেসি একটি চিকিৎসাগত বিজ্ঞান, যা ঔষধ, বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরামর্শ এবং সেবা সরবরাহ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করে। এই বিভাগে সেবা বিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান, জীবন বিজ্ঞান, ফার্মাকোলজি, ফার্মাকগণিত, ফার্মাসিউটিক্যাল স্কায়েন্স এবং অন্যান্য বিষয় অনুশীলন করা হয়।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি অনার্স/মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ পরীক্ষা দিতে হতে পারে অথবা ভর্তি প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করতে হতে পারে। কেননা তবেই আপনি ওই সকল ভার্সিটিতে পড়ার সুযোগ পাবেন। আর হ্যাঁ , ওই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি অনার্স/মাস্টার্স কোর্সের মডিউল বিষয়গুলি প্রায়শই যেগুলো অনুশীলন করা হয়, সেগুলো হচ্ছেঃ-
- ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি: ঔষধের রসায়ন, মোলেকুলার স্ট্রাকচার, ওষুধের প্রভাব এবং সংরক্ষণ সম্পর্কিত অনুশীলন
- ফার্মাকোলজি: ঔষধ কেমিস্ট্রি, দোষ, ঔষধ এবং মানব শরীরের প্রভাব, ঔষধ মেটাবলিজম, সুস্থতা সেবা সম্পর্কিত অনুশীলন।
- ফার্মাকগণিত: ডোজ প্রস্তুতি, ঔষধ প্রভাব মডেলিং, ঔষধ গঠন প্রভাব মডেলিং সম্পর্কিত অনুশীলন।
- ফার্মাসিউটিক্যাল স্কায়েন্স: ঔষধ উৎপাদন, পরিচালনা এবং পরীক্ষা, ঔষধ ব্যবসায়, বাণিজ্যিক উৎপাদন এবং মানব সেবা সম্পর্কিত অনুশীলন ইত্যাদি ইত্যাদি।
এখন কথা হচ্ছে আপনি যদি ফার্মেসিতে সর্বোচ্চ পড়াশোনা করতে চান তাহলে কোন পর্যন্ত পড়তে পারবেন এবং ফার্মেসিতে পড়ার জন্য কোন সাবজেক্ট অধিক বেশি ভালো হবে!
ফার্মেসিতে সর্বোচ্চ পড়াশোনা কোনটি?
ফার্মেসি বা ফার্মেসিসি (Pharmacy) হলো ঔষধ বা মেডিসিন বিজ্ঞানের শিক্ষালয় বা বিভাগ। আর এই বিভাগে ফার্মেসি সম্পর্কিত পড়াশোনা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রদান করা হতে পারে, যেমন:
স্নাতক ডিগ্রি প্রশিক্ষণ (Bachelor’s Degree): একজন ফার্মেসিস্ট হওয়ার জন্য সর্বাধিক সাধারণভাবে অনুমোদিত মানচিত্রে একটি ৪ বর্ষের স্নাতক কোর্স অনুষ্ঠিত হয়। এই কোর্সে বিভিন্ন প্রকারের ঔষধ এবং সংযোজন বিজ্ঞান, ঔষধ ক্রিয়াশীলতা, ঔষধ উৎপাদন, রোগ ব্যবস্থাপনা, রোগ প্রতিরোধ এবং সার্জিক্যাল পদ্ধতি সহ অনেক বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়।
মাস্টার্স ডিগ্রি (Master’s Degree): স্নাতক অনুষ্ঠিত হওয়ার পর একজন ফার্মেসিস্ট স্নাতকোত্তর এর জন্য ভর্তি হতে পারে। কেননা মাস্টার্স ডিগ্রিতে মূলত অধিক উচ্চতর মানচিত্রে অধ্যয়ন করা হয় এবং গবেষণা কার্যক্রমে প্রকৃত প্রযুক্তি ও এমএস/পিএচডি অর্জনের সুযোগ প্রদান করা হয়।
ডক্টরেট (Ph.D.): ফার্মেসি বিভাগে অন্তর্ভুক্ত গবেষকরা অত্যন্ত উচ্চতর শিক্ষার জন্য তাদের গবেষণা ক্যারিয়ার এবং উন্নতির জন্য একটি পিএইচডি (Ph.D.) সার্টিফিকেট অর্জন করতে পারে। পাশাপাশি এই ডক্টরেট অনুসরণ করে নিজেকে একজন ফার্মোলজিস্ট হিসেবে প্রফেশনাল লেভেলে অবস্থান করাতে সক্ষম হতে পারে।
তবে হ্যাঁ, মনে রাখবেন- এই পড়াশোনা মানচিত্র বা ক্রমানুপাতিক ধারাটি আপনার ক্যারিয়ার এর প্রগতি এবং গবেষণা উদ্দীপনার বিষয়ে নির্ভর করবে। একজন ফার্মেসিস্ট প্রয়োজনীয় বৃত্তান্ত করার জন্য বিভিন্ন শিক্ষাগত উপায়ে উন্নত হতে পারেন। আর তাই পেশাদার ফার্ম। D. ডিগ্রীকে ফার্মাসিস্টদের অনুশীলন করার জন্য সর্বোচ্চ ডিগ্রী বলে আখ্যায়িত করা হয়।
ফার্মেসিতে কোন সাবজেক্ট ভালো?
বাংলাদেশে সাধারণত ফার্মেসির উপর চার/পাঁচ বছরের কোর্স (B.Pharm অর্থাৎ Bachelor of Pharmacy) প্রচলিত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ভিত্তি করে কোর্স এর সময়কাল নির্ধারিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসির উপর কোর্স সাধারণত পাঁচ বছরের হয়ে থাকে।
আর ফার্মেসি বা ঔষধশাস্ত্র সাবজেক্টটি মূলত চিকিৎসা বা ঔষধ বিজ্ঞানের অধ্যয়নের জন্য যেটি ব্যবহার হয়। এটি একটি মৌলিক বিজ্ঞান, যা বিভিন্ন ধরনের ঔষধ তৈরি, সংরক্ষণ, বিক্রয় এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে সেবা প্রদান করে। এই বিভাগে সাধারনত নিচের বিষয় গুলোর অপর ভিত্তি করে পড়ানো হয় এবং প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়ে থাকে। সেই বিষয়গুলো হলো:-
স্বাস্থ্যসেবা: ফার্মেসি পেশাদের প্রধান উদ্দেশ্য হলো মানুষের স্বাস্থ্য ও কল্যাণে সেবা প্রদান করা। এখানে ঔষধের গুনাগুণ, প্রভাব, বিক্রয়, উপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কিত জ্ঞান দ্বারা রোগের চিকিৎসা ও উপচারে সাহায্য করা হয়।
ঔষধ বিজ্ঞান: ফার্মেসি বিজ্ঞান কিছু বিশেষ প্রকার ঔষধের তৈরি, পরিবর্ধন, মিশ্রণ, প্যাকেজিং, ওপারেশন, ইত্যাদির সম্পর্কে বিজ্ঞানীগণের কাজে সাহায্য করে।
বিশ্বাসযোগ্যতা: ঔষধের মান এবং পরিমাণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কর্মীরা মানবজনকে উচ্চমানের, বৃহত্তর এবং উন্নতমানের ঔষধ প্রদান করার জন্য কাজ করে।
ঔষধ সংরক্ষণ: কোন ঔষধ কিভাবে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা উচিত তা ফার্মেসিস্টদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সঠিক পক্রিয়ায় সংরক্ষণ না করলে ঔষধ পুষ্টিগুণ আগুন নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং এর প্রভাবও কম হতে পারে।
যেহেতু স্বাস্থ্য ও ঔষধ সম্পর্কিত বিষয়ে সাহায্য এবং সেবা প্রদান করতে ফার্মেসি পেশাটি বেশি গুরুত্ব বহন করে, তাই বেশিরভাগ মানুষ এই সাবজেক্টটি ভালো মনে করে। তবে এটি আপনার আগ্রহ ও আপনার ক্যারিয়ার লক্ষ্যগুলির উপর ভিত্তি করে বেছে নেয়া উচিত, কারণ শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যক্তির আগ্রহ অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুনঃ চ্যাটজিপিটির কারণে উচ্চ ঝুঁকিতে পড়বে যেসকল পেশা
ফার্মেসি বিভাগের ক্যারিয়ার
আপনি যদি ফার্মেসিতে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করতে পারেন তাহলে নিঃসন্দেহে আপনার জন্য সুন্দর একটা ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ অপেক্ষা করছে বলে বলতে পারা যায়। কেননা বাংলাদেশ এ বিভিন্ন ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পানী রয়েছে, যারা প্রতিনিয়ত তাদের প্রয়োজনে প্রচুর পরিমাণে কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই আপনি যদি নিজেকে একজন উপযুক্ত প্রার্থী হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন তাহলে আপনিও একজন এমপ্লয়ি হিসেবে ওই সকল ঔষধ কোম্পানিতে চাকরি করতে পারেন বিভিন্ন পদে।
তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, যেহেতু ফার্মেসি চাকরির রয়েছে উজ্জ্বল সম্ভাবনা এবং এটি বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় চাকরি গুলোর মধ্যে একটি এবং বাংলাদেশেও পড়াশোনার জন্য রয়েছে সুব্যবস্থা। তাই আপনি চাইলে বাংলাদেশ থেকেও নিজেকে এই বিষয়ে দক্ষ ও যথোপযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন।
অন্যদিকে আপনি যদি আরও প্রফেশনাল লেভেলে পৌঁছাতে চান তাহলে বাইরের দেশের জনপ্রিয় ফার্মেসি ভার্সিটিগুলোতে প্রশিক্ষণ নেওয়ার মাধ্যমে নিজ দেশে এবং বাইরের দেশেও কাজ করতে পারেন। আজ এ পর্যন্তই, আমাদের আলোচনার ইতি টানছি এখানেই। পরবর্তীতে আবারো নতুন টপিকের নতুন কোন আলোচনায় আপনাদের সাথে দেখা হবে কথা হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ