সিস্ট হলে কি বাচ্চা হয় না ?

“সিস্ট” শব্দটি অনেকের কাছেই আতঙ্কের নাম। বিশেষ করে নারীদের কাছে, যখন ওভারিতে সিস্ট ধরা পড়ে, তখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়: “সিস্ট হলে কি বাচ্চা হয় না?” আসলে এই প্রশ্নের উত্তর এতটা সহজ নয়। 

কারণ এটি নির্ভর করে সিস্টের ধরন, আকার, চিকিৎসা এবং শরীরের অন্যান্য হরমোন সংক্রান্ত অবস্থার উপর। তাই আজকের নিবন্ধে আমরা– জরায়ুতে সিস্ট হলে কি হয়, সিস্ট হলে কি সমস্যা হয় এবং সিস্ট দূর করার উপায় সম্পর্কে কথা বলব। 

সিস্ট হলে কি বাচ্চা হয় না ?

অনেকের ধারণা, একজন নারীর ওভারিতে সিস্ট থাকা মানে সে মা হতে অক্ষম। তাদের উদ্দেশ্যে বলছি– সিস্ট হলে বাচ্চা হয় না এমনটা নয়। সাধারণত সিস্টেরর কারণে গর্ভধারণে কোন সমস্যা হয় না। কিন্তু যদি দুর্ভাগ্যক্রমে সিস্ট এন্ডোমেট্রিওসিসের মতো অন্তর্নিহিত অবস্থার কারণে হয় সেক্ষেত্রে প্রজনন ক্ষমতায় কিছু সমস্যা তৈরি করতে পারে। এজন্য আপনাকে জানতে হবে সিস্ট কি, সিস্ট এর কোন পর্যায়ে চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরী এবং এর ঝুঁকি ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে।

সিস্ট কি?

সিস্ট হলো তরল বা আধা-তরল পদার্থে পূর্ণ একটি থলে, যা শরীর এর ভেতর বিভিন্ন অঙ্গের গায়ে তৈরি হতে পারে। ওভারিয়ান সিস্ট নারীদের ডিম্বাশয়ে তৈরি হয় এবং এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। আর ওভারিয়ান সিস্ট এর বিভিন্ন প্রকারভেদও রয়েছে। তবে তার আগে সিস্ট এর উপসর্গ ও লক্ষণগুলো জানুন। 

সিস্টের উপসর্গ ও লক্ষণ

সাধারণ উপসর্গ

  • তলপেটে ব্যথা বা চাপ অনুভব
  • অনিয়মিত পিরিয়ড
  • অস্বাভাবিকভাবে ওজন বেড়ে যাওয়া
  • পেট ফুলে থাকা অনুভব

জটিল সিস্টের লক্ষণ

  • পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব
  • অতিরিক্ত রক্তপাত
  • দুর্বলতা বা মাথা ঘোরা

এখন নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে হতে পারে, কেন সিস্ট হয়, কি তার কারণসমূহ! এজন্য নিচের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

সিস্ট এর কারণ | সিস্ট কেন হয়? 

সিস্ট হওয়ার সাধারণ কারণগুলো হচ্ছে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, সংক্রমণ বা ইনফেকশন, টিস্যুর ক্ষতি বা জিনগত কারণ। আবার কিছু সিস্ট ক্যান্সার জাতীয় কোষ থেকে গঠিত হতে পারে যেটা একদমই বিরল। 

যাইহোক এছাড়াও পলিসিস্টিক ওভারী সিনড্রোম এবং অনিয়মিত জীবন যাপন ও খাদ্যাভাস সিস্ট এর আরো গুরুত্বপূর্ণ দুইটি কারণ।  

 মূলত এই বিষয়গুলো আরেকটু ক্লিয়ারলি বললে বুঝতে পারবেন–

  • যদি একজন মহিলার ডিম্বাস্ফুটনের সময় প্রাকৃতিক হরমোন নিঃসরণের সমস্যা হয়, অতএব হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয় সেক্ষেত্রে সিস্ট তৈরি হয়। 
  • POCS অর্থাৎ পলিসিসটিক ওভারী সিনড্রোমসিস্ট তৈরি করে, যা গর্ভধারণের প্রধান অন্তরায় এবং 
  • অনিয়মিত লাইফ স্টাইল ও অস্বাস্থ্যকর খাবার এছাড়াও ব্যায়ামের অভাব সিস্ট তৈরির আরো কিছু কারণ। 

সিস্ট এবং গর্ভধারণ,  এদের মাঝে সম্পর্কটা কতটা জটিল তা জানা জরুরী। যদিও আমরা ইতোমধ্যে বলেছি সিস্ট হলে বাচ্চা হয় না এমনটা নয়। কারণ এটাই সত্যি সব সিস্ট গর্ভধারনে বাধা দেয় না। অনেক সময় সিস্ট থাকা অবস্থাতেও সফলভাবে গর্ভধারণ সম্ভব হয়। 

কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট ধরনের সিস্ট যেমন“এন্ডোমেট্রিওয়েড” বা “ডারময়েড” সিস্ট প্রজনন ক্ষমতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই যদি কখনো সিস্ট এর লক্ষণ গুলো আপনার মাঝে প্রকাশ পায় তাহলে চিকিৎসকের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলা উচিত। 

সিস্ট হলে করণীয় | সিস্ট দূর করার উপায়

সাধারণত প্রথম অবস্থায় সিস্ট কোন ধরনের সমস্যা তৈরি করে না। শুধুমাত্র লক্ষণ হিসেবে কিছু সিনড্রোম দেখা দেয়। যেগুলো আমরা ইতিমধ্যে উল্লেখ করেছি। আর ওই উপসর্গ গুলো দেখা দিলে অবহেলা করা একদমই উচিত নয়। 

অতএব যদি কোন কারণ ছাড়া আপনার তলপেটে ক্রমাগত চাপ তৈরি হয়, ব্যথা তীব্র হতে থাকে, পিরিয়ড অনিয়মিত হয় এবং দীর্ঘদিন সেক্সুয়াল ডিসকম্ফোর্ড এর সমস্যায় ভোগেন তাহলে অতি দ্রুত গাইনোকোলজিস্ট এর শরণাপন্ন হন। 

আর হ্যাঁ, ওভারিয়ান সিস্টের চিকিৎসা পদ্ধতি হলো 

  • ঔষধ নির্ভর চিকিৎসা এবং 
  • সার্জিক্যাল অপশন 

✓ সাধারণ হারমোনাল থেরাপি এবং এন্টি ইনফ্লেমেটরি মেডিসিন গ্রহণের মাধ্যমে ওভারিয়ান সিস্ট এর চিকিৎসা করা হয় প্রাথমিক অবস্থায়। 

✓ আর সার্জিক্যাল চিকিৎসা পদ্ধতি বলতে ল্যাপারোস্কোপি এবং ওভারিয়ান সিস্টেকটমী কে বোঝায়। 

যাইহোক, যদি ইতিমধ্যে আপনার জরায়ুতে সিস্ট হয়ে থাকে তাহলে কোন চিকিৎসা প্রয়োজন তা ডাক্তারের সাথে পরামর্শের পরে সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হবে। তবে হ্যাঁ, ওভারি টেস্ট দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে আগ্রহী। আসুন এ ব্যাপারে কিছু কথা বলা যাক। আরও দেখুনঃ যোনিতে মাংস বৃদ্ধি হওয়ার কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার কি.

ওভারি সিস্ট দূর করার ঘরোয়া উপায়

সিস্ট এর সমস্যা মোকাবেলায় বেশ কিছু উপায় রয়েছে। আপনি সাধারণত ভেষজ উপায়ে, কিছু সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের মাধ্যমে এমনকি ওজন নিয়ন্ত্রণ ও খাওয়া-দাওয়া কন্ট্রোলের মাধ্যমে ঘরোয়া উপায়ে সিস্ট এর সমস্যার নিরাময় করতে পারেন। 

কেননা 

✓ বেশ কিছু হারবাল জিনিস এন্ডোক্রিন সিস্টেম সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও হরমোনের সঠিক মাত্রা বজায় রাখা, প্রজননতন্ত্রের রক্ত সঞ্চালন বাড়ানো সহ যাবতীয় কাজের ভূমিকা রাখে। সিস্ট দূর করার জন্য ভেষজ উপাদান হিসেবে সবচেয়ে কার্যকরী হচ্ছে হলুদ। কি কি খেতে পারেন এবং কিভাবে খেতে হবে জানতে নিচের কয়েকটি পয়েন্ট দেখুন। 

  • এক কাপ কুসুম গরম পানিতে অথবা গরম দুধে আধা চা চামচ হলুদ মিশিয়ে একটি পানীয় তৈরি করুন। আর এটি প্রতিদিন একবার করে খান। মোটামুটি দশ দিন খাবার ফলে আপনি আপনার ভালো ফল পাওয়া শুরু করবেন। 
  • ওভারি সিস্ট দূর করার জন্য আদা চা ও বেশ কার্যকরী। কেননা আদা প্রদাহ প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং রক্ত চলাচল ভালো রাখে। 
  • সাথে এলোভেরা জুস ওভারি সিস্ট দূর করার আরেকটি কার্যকরী খাবার। এটি খেলে হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকে তাই প্রতিদিন এক চামচ এলোভেরা জেল এর পানীয় পান করুন।
  • এগুলোর পাশাপাশি সবচেয়ে কার্যকরী আরেকটি মাধ্যম হচ্ছে হালকা ব্যায়াম ও যোগাসন। নির্দিষ্ট কিছু যোগাসন রয়েছে যেগুলো করলে ওভাড়িতে সিস্ট হওয়ার কোন সম্ভাবনা তৈরি হয় না এমনকি ঠিক হয়ে যায়। 

তো পাঠক বন্ধুরা, এখন আসুন বহুল জিজ্ঞাসিত কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানার মাধ্যমে সিস্ট সম্পর্কে আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় জেনে নেই। 

১. সিস্ট হলে কি সহবাস করা যায়?

✓ সিস্ট এর ধরনের উপর নির্ভর করে এটা। যেমন ওভারিয়ান সিস্ট হলে এটি সাধারণত যদি ছোট থাকে সে সময় সহবাস করলে কোন ধরনের সমস্যা হয় না। কিন্তু বড় হয়ে গেলে ব্যথা বা অস্বস্তি হতে পারে। এক্ষেত্রে উচিত হবে সহবাস বন্ধ রেখে গাইনি পরামর্শ নেওয়ার। 

অন্যদিকে vaginal সিস্ট হলে অতিরিক্ত ব্যথা হতে পারে বা ফেটে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে। এজন্য এ ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই উচিত। আবার যোনির মুখে ফোলা গ্রান্ডে সিস্ট হলে তখন যদি সহবাস করা হয় সেক্ষেত্রে ব্যথা ও ফোলা ভাব আরো বেশি বেড়ে যেতে পারে। তাই যতক্ষণ না ঠিকঠাক হয়ে যায় ততক্ষণ পর্যন্ত সহবাস না করাটাই ভালো। 

আর হ্যাঁ যদি ইনফেক্টেড সিস্ট হয়ে থাকে মানে ফোলা ও পুজ যুক্ত সিস্ট তাহলে সে ক্ষেত্রে একদমই সহবাস করবেন না। এক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন দ্রুত এবং সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করুন। 

২. সিস্ট থাকলে কিভাবে গর্ভধারণের প্রস্তুতি নিতে হয়? 

সিস্ট থাকলে কিছু পরিকল্পিত পদক্ষেপের মাধ্যমে গর্ভধারণ করা উচিত। এতে করে গর্ভপাতের কোনো সম্ভাবনা তৈরি হয় না। এজন্য সবার প্রথমে স্বাস্থ্যকর খাদ্য ভাস গড়ে তুলতে হবে এবং মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকতে হবে। অতঃপর আপনার সিস্ট এর ধরনের উপর নির্ভর করে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ফার্টিলিটির থেরাপি গ্রহণ করবেন, এটা হচ্ছে ডিম্বাণু তৈরি ও নিঃসরণে সাহায্যকারী একটি চিকিৎসা। আশা করছি সিস্ট আপনার গর্ভধারণের কোন প্রকার সমস্যা তৈরি করবে না।

তবে হ্যাঁ একটা বিষয় মাথায় রাখবেন, আমরা সাধারণত ছোটখাটো সমস্যার গুরুত্ব দেয় না। বিশেষ করে শারীরিক সমস্যার। যেটা পরবর্তীতে অনেক গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এ কারণে সিস্ট এর সাধারণ লক্ষণ দেখা দিলেই আপনি চিকিৎসকের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলবেন যাতে করে শুরুতেই তা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এবং আপনি নিজেকে সুস্থ রাখতে সক্ষম হন। 

৩. সিস্ট কত প্রকারের হয়ে থাকে? 

বিভিন্ন প্রকারের বা বিভিন্ন ধরনের সিস্ট দেখা দেয়। আর ডিম্বাশয় সিস্টার কিছু সাধারণ ধরণ হচ্ছে–

  • ফাংশনাল সিস্ট 
  • এন্ডোমেট্রিওমাস সিস্ট 
  • দডার্ময়েড সিস্ট
  • সিস্টাডিনোমাস
  • পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস)
  • কর্পাস লুটিয়াম সিস্ট

এছাড়াও আরেকটি বিপদজনক ধরন হচ্ছে ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার। 

৪. ডিম্বাশয়ে চকলেট সিস্ট কেন হয়? 

গর্ভধারণের কতটা প্রভাব ফেলে এবং ডিম্বাশয় এ চকলেট সিস্ট কেন হয় এ ব্যাপারে আজকাল খুব প্রশ্ন চোখে পড়ে। এ ব্যাপারে ডঃ শাহানারা চৌধুরী জামিয়েছেন–

  • যে সকল মেয়ে শিশুর জন্মের পর যোনিপথে একটু রক্ত বের হয় তাদের মায়ের হরমোনের প্রভাবের কারণে অ্যান্ডেমেট্রিয়াম তৈরি হতে পারে, আর এ কারণে ভবিষ্যতে ওই শিশুর এন্ডোমেট্রিওসিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। 
  • এছাড়াও চকলেট সিস্ট হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে অস্বাভাবিক ঋতুস্রাব। পিরিয়ডের সময় কারো কারো অনেক বেশি রক্ত যায় আবার কারো কারো রক্ত জরায়ু বা ভ্যাজাইনাতে জমে থাকে। পর্দা বা আবরণ দিয়ে প্যাসেজ বন্ধ থাকার কারণে ওই রক্তগুলো বের হতে পারেনা বরং শরীরে পুনরায় ফিরে। যেগুলো পরবর্তীতে পেছনদিকে প্রভাবিত হয়ে ফ্যালোপিয়ান টিউব দিয়ে পেলভিক গহবরে পৌঁছায় এবং সেখানের কিছু কিছু কোষ থেকে তৈরি হয় এন্ডোমেট্রিওসিস, যা চকলেট সিস্ট এর আরেকটি পরিচিত কারণ। 
  • এছাড়াও অনেকের পেরিটোনিয়াল পর্দাতে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হয়ে একটু একটু করে এন্ডোমেট্রিয়াম তৈরি হতে পারে। এটাকে সিলোমিক মেটাপ্লাসিয়া বলে। এ কারণেও চকলেট সিস্ট হতে পারে।

৫. অপারেশন ছাড়াই কিভাবে সিস্ট দূর করা যায়? 

যদি আপনার সিস্ট প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে মানে গুরুতর সাংঘাতিক পর্যায়ে পর্যন্ত না পৌঁছায় সে ক্ষেত্রে অপারেশন ছাড়া সিস্ট দূর করার অপশন রয়েছে। এজন্য আপনার লাইফ স্টাইলে পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে, ওজন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু ঔষধ ও নিয়ম কানুন ফলো করতে হবে পাশাপাশি ব্যায়াম করা অত্যাবশ্যক। 

৬. সিস্ট নরমাল সাইজ কত? 

 নরমাল সাইজের সিস্ট সাধারণত তিন সেন্টিমিটার হয়ে থাকে । ইঞ্চির হিসাব করলে সেটা ১.১৮ ইঞ্চি। 

৭. কোন রোগে জরায়ুতে চকলেট সিস্ট হয়? 

সাধারণত যাদের এন্ডোমেট্রিওসিস রয়েছে ওই সকল ব্যক্তিদের চকলেট সিস্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বলতে পারেন এন্ডোমেট্রিওসিস রোগের কারণে জরায়ুতে চকলেট সিস্ট হয়। 

৮. সিস্ট কত বড় হলে অপারেশন করতে হবে? 

সিস্ট এর আগার যদি তিন সেন্টিমিটারের বেশি হয় অর্থাৎ চার সেন্টিমিটার হয় সে ক্ষেত্রে অপারেশন করা লাগতে পারে। তবে এ ব্যাপারে আপনাকে সবচেয়ে ভালো পরামর্শ দিতে পারবে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক। 

আমাদের শেষ কথা: তো যেহেতু বর্তমান সময়ে মেয়েদের সিস্ট এর সমস্যা বেশি পরিমাণে দেখা দিচ্ছে তাই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। মনে রাখবেন একবার যদি আপনার শরীরে সিস্ট ধরা পড়ে তাহলে সেটা সারিয়ে তোলার পরে আবারো জন্ম নিতে পারে সিস্ট। তাই পুনরায় যদি লক্ষণ প্রকাশ পায় তাহলে চেকআপ করতে ভুলবেন না। 

তাছাড়াও চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি এবং সচেতনতার মাধ্যমে সিস্ট থাকলে সেটা ঠিক করা যায়। তাই এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই যে একজন মহিলার সিস্ট এর সমস্যা রয়েছে জন্য সে মা হতে পারবেনা। তাই সিস্ট হলে কি বাচ্চা হয় না এ প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, হ্যাঁ অবশ্যই বাচ্চা হয়। যদি আপনি সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন এবং একটি সুন্দর লাইফ স্টাইল মেইনটেইন করে চলেন। তো সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ। 

All Easy Google News
Setu
Setu

Assalamu Alaikum, I am Setu. An ordinary girl studying in honors. Currently engaged in the world of technology. I am very passionate about blogging and writing. I like to learn and share something new😇

Articles: 139

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *