রোগিং কি | রোগিং এর অপর নাম কি | রোগিং কেন করবো?

রোগিং কি: যারা কৃষি কাজের সাথে জড়িত তারা মূলত এই শব্দটির সাথে পরিচিত। কেননা রোগিং কৃষিকাজের অন্তর্ভুক্ত একটি অংশ বা প্রক্রিয়া। তবে অনেকেই জানেন না রগিং বলতে আসলে কি বোঝায়!

তবে সচরাচর সাধারণ জ্ঞানমূলক প্রশ্নে এই প্রশ্নটির দেখা মেলে। বিশেষ করে চাকরির ভাইভা পরীক্ষা অথবা চাকরির লিখিত পরীক্ষায়। তাই আজ আমরা রোগিং কি এই বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করব। 

রোগিং কি

তাই যে বা যারা জানতে ইচ্ছুক রোগিং কি, এর প্রয়োজনীয়তা কি এবং কৃষি কাজের ক্ষেত্রে রোগিং এর গুরুত্ব কতটুকু– তারা আর্টিকেলের পরবর্তী অংশটুকু পড়ে ফেলুন। 

আরও পড়ুনঃ ব্যবসায়ের মৌলিক উপাদান কয়টি ও কি কি?

রোগিং কি?

রোগিং হলোঃ- ফসলের বীজ বা চারা বাছাইকরণ পদ্ধতি।

রোগিং এর অপর নাম কি?

রোগিং এর অপর নাম বাছাইকরণ, বিশুদ্ধিকরণ বা পরিচর্যাকরণ।

রগিং বা বাছাই করণ কাকে বলে?

ফসলের জমি থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত উদ্ভিদ তুলে ফেলার জন্য যে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হয় তাকে রোগিং বা বাছাইকরণ বলে।

রোগিং করার প্রয়োজনীয়তা কি?

সচরাচর মানুষ বীজ থেকে চারা উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে ভালো ফসলগুলো রেখে দেন। কিন্তু তবুও যত বিশুদ্ধ বীজই ব্যবহার করা হোক না কেন, পরবর্তীতে জমিতে কিছু কিছু অন্য জাতের উদ্ভিদ ও আগাছার আবির্ভাব ঘটে। আর সেগুলোকে তুলে ফেলার ফলে চারা বা ফসল গুলো অধিক বেশি স্বাস্থ্যবান হয় এবং ফলন বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অর্থাৎ এতে বোঝা যায় রোগিং করার প্রয়োজনীয়তা হলো সুস্থ সকল ফসলের চাষ এবং তা থেকে ভালো ফলন পাওয়ার আশা।

বীজ ফসলে রোগিং করা হয় কেন?

আপনারা যারা ফসলের জমি আবাদের সিস্টেমটি সম্পূর্ণভাবে দেখেছেন তাদের নজরে নিশ্চয়ই আসবে কৃষকরা সাধারণত সবচেয়ে ভালো বীজ অর্থাৎ চারার জন্য আদর্শ বীজকে রেখে দেন। কিন্তু তবুও চারা উৎপাদনের পরবর্তীতে তাতে আগাছা হিসেবে অন্য কোন ফসলের গাছ বা ঘাসের আগমন ঘটে।

যেগুলো মূল চারার থেকে অধিক বেশি শক্তিশালী হয় এবং ঐ সকল চারা বা ফসলকে ক্ষতিগ্রস্ত করে পাশাপাশি অধিক বেশি রস টেনে নেওয়ার সক্ষমতা থাকার কারণে মেইন ফসল রুগ্ন হয়ে পড়ে। দেখা দেয় বিভিন্ন রোগবালাই। আর ঠিক এ কারণেই বীজ ফসলে রগিং করা হয়। মূলত বীজ ফসলের রোগিং করার অন্যতম কারণ হচ্ছে বীজের বিশুদ্ধতা ও বীজের জাতের বিশুদ্ধতা অর্জন। 

ভালো বীজ উৎপাদনে রোগিং কেন গুরুত্বপূর্ণ

ভালো বীজ উৎপাদনে রগিং এর গুরুত্ব অনেক। কেননা আপনারা যারা ফসলি আবাদ করেন না তারাও এটা জানবেন, একটি আবাদের মধ্যে যদি অন্য বিভিন্ন প্রকারের আবাদ বা জঙ্গল হয়ে থাকে তাহলে সেটা মূল আবাদের বিভিন্ন প্রকারের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। 

তাছাড়াও এক একটি ফসল বা একেকটি আবাদের জন্য মূলত আলাদা আলাদা সার এবং আলাদা আলাদা পদ্ধতিতে সেচ দেওয়া হয়ে থাকে। কিছু ফলন রয়েছে যেগুলোতে পানির পরিমাণ বেশি লাগে আবার কিছু ফলন রয়েছে যেগুলোতে সেচ দেওয়ার প্রয়োজনই পড়ে না পাশাপাশি সার ঔষধ প্রয়োগেও তারতম্যতা থেকে থাকে। 

আবার একটি ফসলের মধ্যে যদি বিভিন্ন ধরনের ফসল থেকে থাকে তাহলে সেটার স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি হয় এবং আরো বিভিন্ন প্রকার সমস্যা থেকে থাকে। আর এই সকল সমস্যার সমাধান করা যায় রগিং করার মাধ্যমে।

কয়টি ধাপে রোগিং করা হয়?

রোগিং কি, রোগিং বলতে কী বোঝায় এবং এর গুরুত্ব কি এ সম্পর্কে অনেকটাই জেনেছি। কিন্তু এখন কথা হচ্ছে রোগের মূলত কয়টি ধাপে করতে হয়। মানে ফসলের জমিতে আপনি যে ফলনটি গোপন করেছেন সেটা মূলত কোন কোন সময়ে পরিচর্যা বাছাইকরণ করবেন। 

কৃষকরা সাধারণত তিনটি পর্যায়ে রোগিং অর্থাৎ ফসলের বাছাইকরণ প্রক্রিয়াটির সমাপ্ত করে থাকেন। সেই পর্যায়ে তিনটি হলো:-

  • ফুল আসার আগে
  • ফুল আসার সময় এবং
  • পরিপক্ক পর্যায়ে

রোগিং কোন সময় করতে হয়?

আপনারা যারা লাস্ট পয়েন্টটি পড়েছেন অর্থাৎ রোগিং কয়টি ধাপে সম্পন্ন করতে হয় তাদের কাছে মূলত এই প্রশ্নের উত্তরটি সুস্পষ্ট। তবুও বোঝার সুবিধার্থে আবারো বলছি রোগিং ফুল আসার আগে, ফুল আসার সময় এবং পরিপক্ক পর্যায়ে করা হয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু ফসলের শুধুমাত্র ফুল আসার আগে রগিং করলেই সেটা যথেষ্ট। 

আরও দেখুনঃ

All Easy Google News
Setu
Setu

Assalamu Alaikum, I am Setu. An ordinary girl studying in honors. Currently engaged in the world of technology. I am very passionate about blogging and writing. I like to learn and share something new😇

Articles: 137

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *