শবে বরাত হলো হিজরি শাবান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাত। ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, এই রাতে আল্লাহ তা’আলা তার বান্দাদেরকে বিশেষভাবে ক্ষমা করেন এবং ভাগ্যলিপি লিখে থাকেন।
শবে বরাতের ফজিলতঃ
- মাগফিরাতের রাত: এই রাতে আল্লাহ তা’আলা তার বান্দাদেরকে বিশেষভাবে ক্ষমা করেন।
- ভাগ্যলিপি লেখার রাত: এই রাতে আগামী এক বছরের জন্য ভাগ্যলিপি লেখা হয়।
- রহমত ও বরকতের রাত: এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও বরকত নেমে আসে।
- দান-খয়রাতের রাত: এই রাতে দান-খয়রাত করার অনেক ফজিলত রয়েছে।
- ইবাদতের রাত: এই রাতে নফল নামাজ, তেলাওয়াত, দোয়া ও জিকির করার অনেক ফজিলত রয়েছে।
শবে বরাতের আমলঃ
- রাত জাগা: এই রাত জেগে ইবাদত করা مستحب।
- নফল নামাজ: এই রাতে ১১ রাকাত, ১০০ রাকাত, অথবা যত রাকাত ইচ্ছা নফল নামাজ পড়া যেতে পারে।
- তেলাওয়াত: এই রাতে কুরআন তেলাওয়াত করার অনেক ফজিলত রয়েছে।
- দোয়া: এই রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা, দোয়া ও
- দান-খয়রাত: এই রাতে দান-খয়রাত করার অনেক ফজিলত রয়েছে।
শবে বরাত সম্পর্কে ভুল ধারণাঃ
- শবে বরাতে নির্দিষ্ট কোনো নামাজ নেই: শবে বরাতে ১১ রাকাত, ১০০ রাকাত, অথবা যত রাকাত ইচ্ছা নফল নামাজ পড়া যেতে পারে।
- এই রাতে কবর জিয়ারত করা: শবে বরাতে কবর জিয়ারত করার কোনো নির্দেশ নেই।
- এই রাতে চাঁদ দেখা: শবে বরাতে চাঁদ দেখার কোনো নির্দেশ নেই।
শবে বরাত একটি গুরুত্বপূর্ণ রাত। এই রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা, দোয়া ও ইবাদত করার মাধ্যমে আমরা তার রহমত ও বরকত লাভ করতে পারি।
আরও দেখুনঃ ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা | ভালোবাসা দিবস পিক, মেসেজ, স্ট্যাটাস, ছন্দ ও কবিতা
শবে বরাত নিয়ে স্ট্যাটাসঃ
১. আজ পবিত্র শবে বরাত। রাত জেগে ইবাদত, ক্ষমা প্রার্থনা ও দোয়া করার মহান সুযোগ। আসুন আমরা সকলে মনোযোগ সহকারে এই রাতের ফজিলত কাজে লাগাই।
২. “শবে বরাত” কেবল রাত জাগানোর রাত নয়, এটি আত্মশুদ্ধির রাত। আসুন আমরা এই রাতে অন্তরে অন্তরে আলো জ্বালাই, পাপ থেকে মুক্তি পেয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি।
৩. “শবে বরাত” হলো ভাগ্যলিপি লেখার রাত। আসুন আমরা এই রাতে আল্লাহর কাছে আমাদের ভাগ্যের উন্নতির জন্য দোয়া করি।
৪. “শবে বরাত” হলো রহমত ও মাগফিরাতের রাত। আসুন আমরা এই রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে পাপ থেকে মুক্তি পাই।
৫. “শবে বরাত” হলো পাপ থেকে মুক্তির রাত। আসুন আমরা এই রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে নতুন জীবন শুরু করি।
৬. “শবে বরাত” হলো দান-খয়রাত করার রাত। আসুন আমরা এই রাতে গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করি।
৭. “শবে বরাত” হলো রাত জেগে ইবাদত করার রাত। আসুন আমরা এই রাতে নফল নামাজ, তেলাওয়াত, দোয়া ও জিকির করে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করি।
৮. “শবে বরাত” হলো পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করার রাত। আসুন আমরা এই রাতে পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে সময় কাটিয়ে ভালোবাসা ও সহমর্মিতা বৃদ্ধি করি।
৯. “শবে বরাত” হলো শান্তি ও সমৃদ্ধির রাত। আসুন আমরা এই রাতে বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য দোয়া করি।
১০. “শবে বরাত” হলো আশার রাত। আসুন আমরা এই রাতে আল্লাহর কাছে আমাদের সকল প্রার্থনা ও আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য দোয়া করি।
আরও দেখুনঃ বসন্ত নিয়ে ক্যাপশন, স্ট্যাটাস, উক্তি, কবিতা ও গান
শুভেচ্ছাঃ
- শবে বরাত মোবারক!
- আল্লাহ্ আমাদের সকলের গোনাহ মাফ করুন।
- আল্লাহ্ আমাদের সকলের দোয়া কবুল করুন।
- আমিন!
শবে বরাতে কি কি করা যাবে না?
শবে বরাতে নির্দিষ্টভাবে কিছু করা যাবে না বলে কোনো হাদিসে বর্ণিত হয়নি। তবে, কিছু বিষয় এড়িয়ে চলা উচিত, যা
১. গুণাহের কাজ:
এই রাতে জুয়া খেলা, মিথ্যা বলা, পরনিন্দা করা, ঝগড়া করা,
২. বিদআত:
এই রাতে বিদআতী আমল করা যাবে না। যেমন,
৩. অলসতা:
এই রাতে ঘুমিয়ে কাটানো উচিত নয়।
৪. নির্দিষ্ট নামাজ:
শবে বরাতে ১১ রাকাত, ১০০ রাকাত, অথবা
৫. কবর জিয়ারত:
শবে বরাতে কবর জিয়ারত করার কোনো নির্দেশ নেই।
৬. চাঁদ দেখা:
শবে বরাতে চাঁদ দেখার কোনো নির্দেশ নেই।
৭. অতিরিক্ত খাওয়া-দাওয়া:
এই রাতে অতিরিক্ত খাওয়া-দাওয়া করা উচিত নয়।
৮. রাত জাগার জন্য জোর করা:
যদি রাত জাগার অভ্যাস না থাকে, তাহলে
৯. অন্যদের বিরক্ত করা:
এই রাতে অন্যদের বিরক্ত করা উচিত নয়।
১০. লোক দেখানো:
এই রাতে লোক দেখানোর জন্য ইবাদত করা উচিত নয়।
শবে বরাত একটি পুণ্যময় রাত। এই রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা, দোয়া ও ইবাদত করার মাধ্যমে আমরা তার রহমত ও বরকত লাভ করতে পারি।